Loading...

কিভাবে বাস্তবসম্মত আধ্যাত্মিক জীবনযাপন করতে হয়?

ধর্মের মূল্য কি?

আমরা কিভাবে সত্য খুঁজে পেতে পারি?

কিভাবে বিভিন্ন মানুষ একটা ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েন?

এটা প্রদত্ত প্রশ্নাবলীর উত্তর খোঁজার মত ব্যাপার:

আমি কোথা থেকে এসেছি? আমি কেন বেঁচে আছি? আমি কোথায় চলেছি?

যে কোন কারণেই হোক। প্রতিটি ধর্মই নির্দেশ দেয় এবং লক্ষ থাকে একটাআধ্যাত্মিক জীবনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

মাঝে মাঝে আমরা মানসিক দিক থেকে শূণ্যতা অনুভব করি।

এর কারণ হল, কারণ আমরা সৃষ্টিকর্তার সাথে আমাদের সান্নিধ্য এবং ঐক্য হারিয়ে ফেলেছি।

প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে বর্ণনা করা আছে এই শূণ্যতার সাথে মোকাবিলা করার বিভিন্ন পদ্ধতি।

এবং একটা পথ যা ‘তথাকথিত’ ঐশ্বরিক গন্তব্যে পৌছে দেয়।

কোন পদ্ধতিটি প্রকৃতপক্ষে কার্যকরী হবে এবং কোন পথটি আমাদের মেনে চলা উচিৎ।

কোন ধর্মগ্রন্থটি ঈশ্বরের দ্বারা যথার্থভাবে অনুপ্রাণিত?

এই রকম একটা বইতে আমরা:

  1. সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর সম্পর্কে আরো বেশি করে আবিষ্কার করতে পারব। এই “রিজিন ফর গড” সিনেমাতে আমি এর কারণ ব্যাখ্যা করব।
  2. প্রথম থেকে প্রাচীন গল্প সমূহ পড়ুন।
    ঈশ্বর শ্বাশ্বত। যদি ঈশ্বরের উপরে নির্দিষ্ট বিশ্বাস জন্মায়, তাহলে এটা অবশ্যই প্রথম থেকে শুরু হতে হবে।
  3. ঐশ্বরিক জ্ঞান, সংযোগ এবং সংগতি লাভ করুন কারণ এইগুলি আমরা আমাদের মাতৃসম প্রকৃতিতে হস্তাঙ্গুলি ছাপার মত দেখতে পাই।
  4. সত্য এবং বাস্তব সম্পর্কে পড়ুন। যদি সত্যি না হয় তাহলে এটা অর্থহীন।
  5. মনের গভীরের শূণ্যতা এবং আমাদের আত্ম-কেন্দ্রিক চরিত্রের ঐশ্বরিক সমাধান আমাদের কে আবিষ্কার করতে হবে।
    জীবনের ভালোবাসা এবং পরিপূর্ণতা, এটাই আমাদের ঈশ্বরের কাছ থেকে আশা করা উচিৎ!
  6. একটা পথ খুঁজে বের করতে হবে যা শান্তি এবং ভালোবাসার দিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়।
    ভালোবাসা সৃষ্টি কে একসাথে ধরে রাখে। এটা আমাদের সৃষ্টিকর্তার লক্ষ হওয়া উচিৎ।
  7. ঈশ্বরের বানী আমাদেরকে শুনতে হবে। যদি এই বইটি ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে তাহলে, তিনি এটা ব্যবহার করে আমাদের সাথে কথা বলতে চান।

বাইবেল কি এই ধরনের একটা বই? আসুন আমরা এই বৈশিষ্ট্যগুলির দিকে তীক্ষ্ণ ভাবে লক্ষ করি।

1. সৃষ্টিকর্তা

ঈশ্বরকে কি জীবনের সৃষ্টিকর্তা হিসাবে বাইবেল বর্ণনা করা হয়?

বাইবেল আমাদের কাছে ঈশ্বরকে মহাবিশ্ব এবং জীবনের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে প্রকাশ করে।

ঈশ্বর যাতে আমাদের সঙ্গে তাঁর জীবন এবং ভালবাসা ভাগ করতে পারেন তাই আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে!

বাস্তব প্রেম এবং আনন্দের জন্য আকাঙ্খা আমাদের সবারই আছে

আমরা সবাই সম্মান এবং ভালোবাসা চাই। এটি একটি ঈশ্বর প্রদত্ত নকশা!

শুধুমাত্র, প্রায়শই আমরা একটি অযথার্থ উৎস থেকে এই ভালোবাসা পেতে চেষ্টা করি।

2. প্রাচীন গল্পসমূহ

মানবজাতির জন্মলগ্নের তারিখ থেকেই কি বাইবেলের গল্প চলে আসছে?

প্রথম বাইবেলের গল্প সত্যিই অতি প্রাচীন।

প্রায় ২৩০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে (BC) প্রায় ১৫০০ মাটির টেবিলের উপর লেখা সিরিয়াতে পাওয়া গেছে।

এই লেখাগুলি থেকে প্রাপ্ত গল্প সমূহের সাথে বাইবেলের প্রথম বই এর লেখার মিল পাওয়া যায়।

প্রত্নতত্ত্ববিদেরা বহু প্রাচীন জায়গা আবিষ্কার করেছেন

এবং প্রমান পেয়েছেন যা বাইবেলে বর্ণিত হিসাবে ঘটনাসমূহকে নিশ্চিত করে।

3. সংযোগ ও সংগতি

ঐশ্বরিক জ্ঞান, সংযোগ এবং সংগতি কি বাইবেল থেকে আমরা লাভ করতে পারি?

বাইবেল হল ৬৬টি বই এর একটি সংগ্রহ যা ১৫০০ বছরে ৪০ জন লেখক দ্বারা লেখা হয়েছিল।

এর দুটি অংশ আছে: ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং নিউ টেস্টামেন্ট।

এই সমস্ত বইগুলির মধ্যে অসাধারণ সাদৃশ্য এবং সংগতি রয়েছে।

ওল্ড টেস্টামেন্টে আমরা পড়ি কিভাবে প্রথম মানুষ তাদের মহিমান্বিত জীবন ঈশ্বরের সাথে হারিয়েছিলেন।

এবং আমরা ত্রাণকর্তা সম্পর্কে ৬০টির বেশি দৈববানী খুঁজে পাই,

যিনি আসবেন ঈশ্বরের সাথে আমাদের ঐক্য পূণঃপ্রতিষ্ঠিত করতে।

এই বিস্তারিত দৈববাণীতে বর্ণিত আছে আদিকাল থেকে আরম্ভ থেকে অন্তিমকাল পর্যন্ত তার সমস্ত জীবন বৃত্তান্ত।

এই সমস্ত সূচকগুলি বর্ণনা করে সত্যিকারের ঈহুদীদের ত্রাণকর্তার বা মসিহার ব্যক্তিগত পরিচয়।

প্রফেসর স্টোনার এর গণনা অনুসারে, সম্ভাব্য ৮টি গুরুত্বপূর্ণ দৈববাণী একজন মানুষ পরিপূরণ করতে পারেন।

সম্ভাবনা হল ১০১৭ এর মধ্যে ১, যার অর্থ হল ১০০,০০০,০০০ x ১০০,০০০,০০০ এর মধ্যে ১।

এক জন মানুষের পক্ষে জীবনকালে সমস্ত দৈববাণী সমূহ পরিপূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু যিশুখ্রিষ্ট পেরেছিলেন!

আমাদেরকে ত্রাণকার্তার এই সমস্ত দৈববাণী সমূহ মনে রাখতে হবে

যেগুলি যিশুখ্রীষ্টের জন্মের ৬০০ বছরের আগে লেখা হয়েছিল।

এবং ওল্ড টেস্টামেন্ট বন্ধ হয়েছিল এবং গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্বাব্দ (BC) ২ শতাব্দীর আগে।

অর্থাৎ, নিউ টেস্টামেন্টে ব্যাখ্যা করা আছে কেন যিশুখ্রিষ্ট প্রকৃতই ত্রাণকর্তা।

তিনি ওল্ড টেস্টামেন্টের সমস্ত দৈববাণীই পূরণ করেছেন।

তিনিই একমাত্র বিধিসম্মত ত্রাণকর্তা।

4. সত্য

বাইবেলে বর্ণনা করা ঘটনাসমূহ কি বাস্তবে ঘটে?

এটাই তৃতীয় খন্ডের প্রথম ভাগের সমাপ্তি।

আপনি এখন সিনেমার ‘তৃতীয় খন্ডের দ্বিতীয় ভাগ’, অর্থাৎ “দি কোড অফ লাইফ অ্যান্ড রিলিজিয়ন” দেখতে পারেন অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি উন্মোচন করার জন্য।

দি কোড অফ লাইফ অ্যান্ড রিলিজিয়ন

জীবন এবং ধর্মের কোড (সত্যের অনুসন্ধান, তৃতীয় খন্ডের দ্বিতীয় ভাগ)
2018-12-11T12:52:09+00:00

Pin It on Pinterest

Share This